Friday, June 29, 2012

সত্যের খোঁজে

সবাই বলে সত্যের পথে থাকো,এতেই মঙ্গল। ছোটবেলায় যখন স্কুলে যেতাম মাস্টার মশাই বলতেন 'সদা সত্য কথা বলবে'
বাস্তবে সত্য বলার ফলাফল যে কত ভয়াবহ আর নির্মম হতে পারে এখন তাই দেখছি। আমরা কি পারব আমাদের পরবর্তি প্রজন্মকে সত্য বলার সাহস দিতে? বলছি জুলিয়ান এসাঞ্জের কথা। সাহসী সত্যের সন্ধানী এই ভদ্রলোককে উইকিলিকসের কল্যানে সমগ্র বিশ্বই চেনে। মহাপরাক্রমশালী বিশ্ব নেতৃত্বের দেশগুলোর ন্যায়-নিষ্ঠার মুখোশ খুলে দিয়েছিলেন এই ভদ্রলোক। তার প্রদত্ত তথ্য ভুল প্রমান করতে না পেরে বেচারাকে কি যে নাজেহাল হতে হচ্ছে তার ইতিহাস কম-বেশী সবারই জানা। বিভিন্ন দেশের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন রাজনৈতিক আশ্রয়ের খোঁজে। কোথায় তবে সত্যের জয়গান?
এবার আসি দেশের প্রসংগে। কিঞ্চিত ভীতি মিশ্রিত অবস্থায় বলছি, দেশের সাংবাদিকদের উপর যেভাবে বিভিন্ন মহলের আক্রমন চলছে তাতে মনে হচ্ছে একদল নেমেছে 'সত্যি কথা হজম করার চেয়ে সত্যি কথা বলার মানুষটাকেই না হয় গায়েব করে দেই' নীতিতে। এরপর পরকীয়া- যৌনতা সম্পর্কিত কিছু অপবাদমূলক বয়ান দিয়ে পাবলিককে বেকুব বানানোর চেষ্টা। উপরন্তু অর্থকষ্টে থাকা সমাজের কিছু পরিচিতমূখকে মিডিয়ার সামনে এনে নিজেকে ভদ্রলোক প্রমানের হাস্যকর চেষ্টা। বিনিময় প্রথা সম্পর্কে আমরা কম-বেশি সবাই জানি ও বুঝি।
ছেলেবেলায় দুষ্টুমী করে ধরা খেলে মা একটা কথা প্রায়ই বলতেন, 'ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাইনা' টাইপের জবাব থেকেই নাকি অনেক কিছু বুঝা যায়।
হোকনা সেটা মহাপরাক্রমশালী কোন রাষ্ট্রের বিপক্ষে, কিংবা হালের মিডিয়া গাড়ল কোন ব্যক্তির বিপক্ষে সত্য কখনোই থামবেনা। এই পৃথিবীতে একজন না একজন সত্য বলার মানুষ থাকবেই। প্রকাশ্যে না হোক,অন্তত মনে মনে হলেও সত্যকে সমর্থন দিয়ে যাবেন।কারন পৃথিবীতে এখনো কিছু মানুষ বাস করে, সবাইতো আর কুকুর-হায়েনার পর্যায়ে চলে যায় নি। একটা কথা মনে রাখতে হবে অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা তারে যেন  তৃণ সম দহে।

তৌফিক মিথুন
২৯-০৬-১২

No comments:

Post a Comment